Total Visitor
Website counter
Counting since March 26, 2008

Women Empowerment

মনি বেগম, রোকেয়া স্বরনী শাখা। ঢাকার শেরে-ই- বাংলা নগর তালতলা কলোনী বাজার এলাকার তৈরী পোষাক ব্যবসায়ী মনি বেগমের ভাগ্যকে বদলে দিয়েছে দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ (ডিএমসিবি) রোকেয়া স্বরনী শাখা ব্যাংকটির বিনিয়োগ গ্রহণ করে মনি বেগম এখন একজন প্রতিষ্ঠিত তৈরী পোষাক ব্যবসায়ী । বর্তমান তার ব্যবসায়িক ঠিকানা কলোনী বাজার, তালতলা, শেরে-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ । মনি বেগম বয়স ৪১, ২ সন্তানের জননী । জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে তৈরী পোষাক ব্যবসা করে জীবন ধারন করেন । ব্যবসায় ভাল অভিজ্ঞতা থাকলে ও পুজির অভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারছিলেন না। একদিন তিনি ডিএমসিবি রোকেয়া স্বরনী শাখার জনৈক ইনভেস্টমেন্ট অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারলেন ব্যাংকটি সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে, বিনা জামানতে বিনিয়োগ প্রদান করে থাকে । ফিল্ড অফিসারের পরামর্শে মনি বেগম একদিন ব্যাংকে এসে সংশি¬ষ্ট শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলে তার ব্যবসায়ীক অবস্থান সম্পর্কে জানালেন । শাখা ব্যবস্থাপক মনি বেগম ব্যবসায়ীক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে প্রথমে গত ২০১৫ সালের ১৯ শে অক্টোব^র পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিয়োগ প্রদান করেন । এর পর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । একের পর এক বিনিয়োগ নিয়ে সময় মত পরিশোধ করেছেন । অবশেষে ২০১৭ সালের ১১ ই মার্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ নিয়ে তার ব্যবসাকে ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছেন । এখন মনি বেগম একজন বড় তৈরী পোষাক ব্যবসায়ী । মনি বেগম ডিএমসিবি এর বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন । বিনিয়োগ গ্রহনের পূর্বে তার দৈনিক আয় ছিল ২ হাজার টাকা । এখন তা বেড়ে ৪ হাজার টাকায় দাড়িয়েছে । ডিএমসিবি তার এ সাফল্য এনে দিয়েছে । এ জন্য তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান, উদ্যোক্তা সহ সংশি¬ষ্টদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ।

আমি মোসাঃ রহিমা বেগম। আমার ব্যবসায়িক ঠিকানা লালমাটি বাজার, সাততলা বস্তি, মহাখালী, গুলশান, ঢাকা-১২১২। একদিন আমার প্রতিবেশী ব্যবসায়ী দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ এর বিনিয়োগ গ্রহিতা মো. দুলাল মিয়া ব্যাংক সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। বিনিয়োগ গ্রহনের পূর্বে আমি যে মূলধন নিয়ে ব্যবসা করতেন তাতে আমার ব্যবসার অবস্থা ভাল ছিল না। আমি ডি.এম.সি.বি হতে ৫০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ গ্রহনের মাধ্যমে বর্তমানে ৬টি রিক্সা থেকে ১৫টি রিক্সার মালিক হই। বিনিয়োগ গ্রহনের পর দৈনিক আয় ৩,০০০/-টাকা এবং পূর্বে আয় হত ১,২০০/-টাকা। তার আগের জীবনের চেয়ে এখনকার জীবন অনেক সুন্দর এবং আমার জীবন এখন রিক্সার চাকার মত উন্নতির দিকে ঘুরছে। অমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হচ্ছে তার রিক্সা গ্যারেজে ৫০টি রিক্সা থাকবে।

আমার নাম রেহানা আক্তার । আমার ব্যবসায়িক ঠিকানা মিস্টার চয়েজ, রহমান প্লাজা, সিড়ি সংলগ্ন জুরাইল রেলগেট ঢাকা। আমি সর্বপ্রথম একটি দোকানে সল্প বেতনে চাকুরি করি। ধীরে ধীরে আমার মধ্যে স্বপ্ন জাগে যে আমি একজন সফল ব্যবসায়ী হব। যেই চিন্তা সেই কাজ, আমি অল্প কিছুদিন পর চাকুরি ছেড়ে দেই এবং অনেক কষ্টে ১,০০,০০০/- টাকা মুলধন নিয়ে মেয়েদের পোশাকের ব্যবসা শুরু করি। হঠাৎ একসময় মুলধন সল্পতায় পড়ে যাই। তখন আমার ব্যবসা টিকিয়ে রাখা আমার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তখনই ডিএমসিবিএল এর অন্য একজন সফল গ্রাহক বাবুল ভাইয়ের মাধ্যমে ডিএমসিবিএল এর সন্ধান পাই। তার মাধ্যমে জানতে পারলাম ডিএমসিবিএল থেকে সহজেই বিনিয়োগ গ্রহন করা যায়। সাথে সাথে আমি পোস্তগোলা শাখায় আসি এবং শাখার ব্যবস্থাপক এর সাথে বিস্তারিত আলাপ করি এবং তার সহযোগিতায় খুব সহজেই আমি ৮০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ গ্রহন করি। বিনিয়োগ গ্রহন করার পর আমি বুঝতে পারি, আমার ব্যবসায় আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ এখন আমার ৩,০০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ চলছে। আজ আমি একজন সফল নারী ব্যবসায়ী। আমি গর্বিত সবসময়। প্রার্থনা করি ডিএমসিবিএল আরও প্রসার লাভ করুক। সর্বশেষ আমি একটি কথায় বলতে চাই আমার সফলতার মূল দাবিদার ডিএমসিবিএল।

< Prev123456789Next >