Women Empowerment
আমি নুর জাহান। আমার ব্যবসায়িক ঠিকানা ৩নং ধামালকোর্ট , ভাষানটেক, ঢাকা। বিনিয়োগ গ্রহনের পূর্বে আমার ব্যবসার অবস্থা ভাল ছিল না। ব্যবসার মূলধনের উৎস ছিল আতœীয়-স্বজনের নিকট থেকে ধার করা টাকা। আমার দোকানের ডেকোরেশন ভাল ছিল না তাই গ্রাহক কম আসত। আমি প্রথমবার ১১০০০০ টাকা বিনিয়োগ গ্রহন করি এবং সর্বশেষ ৩,৩০,০০০ টাকা বিনিয়োগ গ্রহন করি। ১ম বিনিয়োগ গ্রহন করে দোকানের ডেকোরেশন ভাল করি এবং কিছু টাকা মালামাল কিনতে ব্যবহার করি। পরবর্তী বিনয়োগ গ্রহন করে ০১ টি ফ্রীজ কিনি। ৩য় বিনিয়োগ গ্রহন করে আমি ভালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করি। বর্তমানে আমি একজন সফল ব্যবসায়ী। বিনিয়োগ গ্রহনের পূর্বে আমার আয় ছিল ২০০-৩০০ টাকা। বর্তমানে আয় ১,০০০-১,২০০ টাকা। পূর্বের অবস্থা থেকে বর্তমানে আমি খুব ভাল আছেন। আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা চলমান বিনিয়োগ শেষ করে পূনরায় বিনিয়োগ নিয়ে তিনি তার ব্যবসাকে সম্প্রসারন করবেন।
আমি মিসেস নাজমুন নাহার একজন সফল হোটেল ব্যবসায়ী । আমার ব্যবসায়িক ঠিকানা তৃপ্তি হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, হাসপাতাল রোড,সদর,লক্ষ্মীপুর। দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লি: আমার ব্যবসায়ীক সফলতা এনে দিয়েছে। যখন পুঁজির অভাবে আমার ব্যবসা সম্প্রসারন করতে পারছিলাম না তখন এই প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবকের মত পুঁজি নিয়ে আমার পাশে দাড়ায়। প্রতিষ্ঠানটির পুঁজি বিনিয়োগ করে আজ আমি সফল ব্যবসায়ী। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই কথাগুলো বলছিলেন লক্ষীপুর জেলার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত তৃপ্তি হোটেল এর স্বত্তাধিকারী জনাবা নাজমুন নাহার । তিনি যখন পুঁজির অভাবে ব্যবসা সম্প্রসারন করতে পারছিলেন না তখন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ কর্মকর্তা জনাব মো: আলাউদ্দিন সোহাগের এর মাধ্যমে জানতে পারিলেন দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লি: লক্ষীপুর শাখায় সহজ শর্তে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ প্রদান করে থাকে। আমি একদিন ব্যাংকে গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে দেখা করলাম এবং আমার ব্যবসার বিস্তারিত জানালাম। তিনি আমার ব্যবসায়ীক অবস্থা বিবেচনা করে প্রথমে আমাকে ১,০০,০০০/- বিনিয়োগ প্রদান করেন। এর পর আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।এক লক্ষ টাকার বিনিয়োগ পরিশোধ করে।বর্তমানে আমি ১,৫০,০০০/-বিনিয়োগ নিয়ে আমার ব্যবসাকে সম্প্রসারন করেছি। এখন আমি একজন সফল ব্যবসায়ী। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি মিসেস বিদূষী চাকমা । আমার ব্যবসায়িক ঠিকানা বিদূষী পোল্ট্রি ফার্ম এন্ড সেল্স সেন্টার, হোল্ডিং নং- ৭১২, ৬৮ নং দোকানের ফ্লট, পানখাইয়া পাড়া রোড, খাগড়াছড়ি সদর, খাগড়াছড়ি। চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে বহুবার হণ্য হয়ে ঘুরেছি, প্রতি পদক্ষেপে বাধাঁগ্রস্ত হয়েছি, এরপর ও চাকরির আশা ছাড়িনি। কিন্তু চাকরি নামক সোনার হরিণের দাসত্ব থেকে অবশেষে নিজেকে মুক্তি দিয়ে নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে ও শতভাগ ঝুঁকির বোঝা মাথায় নিয়ে সাহসী পদক্ষেপে ছোট পরিসরে “বিদূষী পোল্ট্রি ফার্ম এন্ড সেলস সেন্টার” নামে পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জড়িত হই। কিন্তু ব্যবসায় চলার পথে প্রতিবন্ধকতার দেয়াল তৈরী করে পুঁজি ও মূলধন। পরাধীনতার মধ্যে থেকে নিজে ব্যবসা করে স্বাধীনতার সাধ খুঁজতে গিয়ে জয় শতভাগ নিশ্চিত জেনেও শোচনীয় পরাজয়ের পথসুগম করে দিচ্ছে একমাত্র পুঁজি ও মূলধন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি সংগ্রহ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নামক ভাটায় জোয়ার আনার প্রচেষ্ঠায় ডুবে মগ্ন থেকেছি বটে কিন্তু সফল হয়নি। এমন এক ক্রান্তিকালীন সময়ে আমার সুপরিচিত পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী মিঃ তপন সাহার মাধ্যমে জ্যৈষ্ঠ মাঠ কর্মকর্তা মিঃ আশিষ কুমার চাক্মা এর সাথে পরিচিতি হলে তিনি ‘‘দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ’’ এর মাটিরাংগা শাখা সহজশর্তে জামানত বিহীন ও গ্রাহকের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বিনিয়োগ প্রদানের বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত হলে আমার সীমাহীন নিরাশায় আশার আলো খুঁজে পাই। নেমে পড়ি কোমড় বেঁেধ, আশা নিরাশার দোলাচালে জিদ, আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্নকে পূঁজি করে। অতপরঃ ব্যবসায় পুঁজি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যাংকের জ্যৈষ্ঠ কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বিনিয়োগের জন্য আবেদন করলে, একদিন মাটিরাংগা শাখার ব্যবস্থাপক আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করে আমাকে প্রথম ধাপে/পর্যায়ে দুই লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় ধাপে/পর্যায়ে আমার ব্যবসার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করলে আমার ব্যবসার কলেবর আরো বৃদ্ধি পায় , মনে সাহস, শক্তি ও আত্ম-বিশ্বাস বহুলাংশে বেড়ে যায়। বর্তমানে আমার ০৭ (সাত) টি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে এবং আমার ব্যবসার সার্বিক অবস্থা পূর্বের চেয়ে অত্যন্ত ভাল। আমি আজ সীমাবদ্ধতার খাঁচায় দাপাদাপি করে বন্দী না থেকে আকাশের বিশালতায় মুক্ত পাখির মতো উড়তে সক্ষম হয়েছি একমাত্র ‘‘দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ’’ মাটিরাংগা শাখা হতে সহজশর্তে জামানত বিহীন ও গ্রাহকের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বিনিয়োগ পাওয়ার মাধ্যমে । এজন্য আমি ব্যাংকের নিকট চিরকৃতজ্ঞ। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ‘‘দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ’’ এর উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি, উন্নতি, সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
আমি খুরশিদা আলম। । আমার ব্যবসায়িক ঠিকানা রুবাইয়া ফ্যাশন হাউজ ও গিফট কর্ণার, বীণাপানি রোড, গোপালগঞ্জ। আমি যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করার পর যখন পুজির অভাবে ভালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছিলেননা তখন একদিন দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো- অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড এর গোপালগঞ্জ শাখার সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট অফিসার মোঃ আফাজ উদ্দিন আমার দোকানে যান এবং ব্যাংকের বিনিয়োগ সংক্রান্ সুযোগ সুবিধার কথা বলেন এবং আমাকে ঋণ গ্রহনে উদ্ভুদ্ধ করেন। মূলত তিনি এখান থেকেই ব্যাংক সম্পর্কে জানতে পারি ও ঋণ গ্রহন করি। ডিএমসিবি থেকে প্রথমে আমি ১,০০,০০০/- বিনিয়োগ গ্রহন করি এবং সর্বশেষ ৫,০০,০০০/- বিনিয়োগ চলছে। আমি স্বামী দ্বারা নির্যাতিত একজন অসহায় মহিলা। যার কারনে সে তার ছোট্ট একটি মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি বসবাস শুরু করি। কোন উপায় খুজে না পেয়ে অবশেষে বাবার কাছ থেকে কিছু অর্থ নিয়ে তিনি বিনিয়োগ গ্রহনের পূর্বে ছোট একটি কসমেটিকস এর দোকান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন । কিন্তু পূজির অভাবে ভালমত ব্যবসা পরিচালনাকরতে পারছিলাম না। বিনিয়োগ গ্রহনের পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও সম্প্রসারিত করেছেন। কসমেটিকস এর পাশাপাশি এখন আমি বিভিন্ন প্রকারের গিফট সামগ্রী বিক্রি করি। এখন আমি আগের থেকে আরও বেশী টাকা রোজগার করেন এবং একজন সফল ব্যবসায়ী।
আমি জয়া সাংমা। আমার ব্যবসায়িক ঠিকানা সাজ বিউটি পার্লার, আলহাজ্ব আবুল হাশেম প্লাজা, চৌরঙ্গী রোড, গোপালগঞ্জ। আমি যখন পুজির অভাবে ভালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছিলেননা তখন একদিন দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো- অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড এর গোপালগঞ্জ শাখার সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম দোকানে যান এবং ব্যাংকের বিনিয়োগ সংক্রান্ সুযোগ সুবিধার কথা বলেন। মূলত এখান থেকেই আমি ব্যাংক সম্পর্কে জানতে পারেন। আমি ছিল উপজাতি সমম্প্রদায় বিধায় গ্রাহক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করার পর কোন যায়গা থেকেই ঋণ গ্রহন করতে পারছিলেন না। তাছারা ব্যবসা শুরু করার আগে অন্যের দোকানে মজুরী ভিত্তিক কাজ করতাম। এরপর বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার করে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেছিলাম। ডিএমসিবি থেকে প্রথমে আমি ১,০০,০০০/- বিনিয়োগ গ্রহন করি এবং সর্বশেষ ৩,০০,০০০/- বিনিয়োগ চলছে। বিনিয়োগ গ্রহনের পূর্বে তার দৈনিক আয় ছিল ৩০০-৪০০ টাকা। বর্তমানে আমার দৈনিক আয় ৪০০০-৪৫০০ টাকা। বিনিয়োগ গ্রহনের পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। পার্লার ব্যবসার পাশাপাশি এখন তিনি সেখানে মেয়েদের পার্লার এর উপর প্রশিক্ষন দেন। এখন আমি আগের থেকে আরও বেশী টাকা রোজগার করি এবং একজন সফল ব্যবসায়ী।
আমি স্বপ্না চৌধূরী। মেসার্স স্বপ্না ক্লথ ষ্টোর, আদালত রোড, পটিয়া। বিনিয়োগ গ্রহনের পূবে আমি নিজস্ব স্বল্প পুঁিজ নিয়ে স্বল্প পরিসরে ব্যবসা করতাম। আমি প্রথমে ১০০০০০/- টাকা বিনিয়োগ গ্রহন করি এবং সর্বশেষ ৫০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ গ্রহন করি। আমার এই ছোট্ট পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু সঞ্চয় করব সেই ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার সুযোগ হইনি। বর্তমানে আমি আমার ব্যবসার আয় থেকে দৈনিক ও মাসিক সঞ্চয় করেছি যা আমার ববিষ্যতে অনেক উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। ডিএমসিবিএল থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করার পর আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দৈনিক ৫,৫০০/- আয় করি এবং তা বিনিয়োগ গ্রহণ করার পূর্বের আয় ছিল ৩,৩০০/-। তার পাশাপাশি আমি কিছু স্থাবর সম্পত্তির ক্রয় করতে সকক্ষম হয়েছি। তাই ডিএমসিবিএল কে অসংখ্য ধন্যবাদ। পূর্বে ছোট্ট আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হলেও বর্তমানে ডিএমসিবিএল এ সহজ শর্তে জামানতবিহীন বিনিয়োগ প্রদানের ফলে পুজিঁ নিয়ে আর কোন প্রকার চাপ অনুভব করিনা। তাই আমি ডিএমসিবিএল এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।