Success Story of Members
Branch Name : Goran, Dhaka
Branch Code : 006
"ডিএমসিবি'র সহায়তায় মোঃ আলী হোসেন এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী"
দোকানের ক্যাশে বসে চোখ বন্ধ করে বাজারের হট্টগোলের মধ্যেই দোকানের শেষ প্রান্তে থাকা সহকর্মীর বলা পণ্যের তালিকা শুনে ক্যালকুলেটার চেপে হিসাব মেলাচ্ছিলেন মোঃ আলী হোসেন। চোখ বন্ধ রেখেই সুনিপুণ দক্ষতায় আঙুলে ঝড় তুলছিলেন আলী হোসেন; অসাধারণ সে দৃশ্য। সালাম শুনে চোখ মেলে একগাল হেঁসে বিনয়ের সাথে সালামের উত্তর দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলেন। উঠে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন "দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড" (ডিএমসিবি) এর গোড়ান শাখার ব্যবস্থাপক ও কেন্দ্রীয় জনসংযোগ বিভাগের প্রতিনিধিকে বসাবার ব্যবস্থা করতে।
এতক্ষণ বলছিলাম, সদা হাস্যজ্জ্বল মোঃ আলী হোসেন এর কথা। তিনি ডিএমসিবি'র গোড়ান শাখা, ঢাকার একজন সম্মানিত সদস্য ও বিনিয়োগ গ্রহীতা। তাঁর সাথে কথা হয় তাঁর নিজেস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক বাজারের চৌরাস্তায় অবস্থিত 'আলী স্টোর' নামক মুদি ও প্রসাধন পণ্যের দোকানে।
আলী হোসেন বলেন; সারা জীবন কষ্ট করে আজ সুখের মুখ দেখেছি ডিএমসিবি’র সহায়তায়, তবে সহজে ধরা দেয়নি এই সুখ। এর নাগাল পেতে আমাকে সেই কিশোর বয়স থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমরা ছিলাম ৬ ভাই ২ বোন। বাবা মা সহ ১০ জনের সংসার। বাবা ছিলেন ঢাকার ডেমরার একটি জুট মিলের সামান্য মেশিনম্যান। বাবার পাওয়া অল্প বেতনে আমাদের সংসার ঠিকমত চলতো না। অন্য কোন উপায়ও ছিল না। আমরা ভাই-বোনরাও ছিলাম সবাই খুব ছোট, ফলে সংসারের জন্য কিছু করতে পারতাম না। বাবা ডেমরাতে চাকুরী করলেও আমরা থাকতাম নারায়ণগঞ্জ এর রূপগঞ্জ উপজেলার উল্লাবাহ্ নামক আমাদের নিজ গ্রামে। গ্রামের বাড়ী বলতে ছিল একটি মাটির ঘর। আর পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে দেড় বিঘা জমি, যা বছরের প্রায় ৫-৬ মাস সময়ই থাকতো পানির নিচে। আমরা সব ভাই-বোন মিলে ক্ষুধা ও দারিদ্রের সাথে পাঞ্জা লড়তাম। প্রায়ই আমরা একবেলা খেতাম, কোন কোন দিন তাও জুটতো না। মা কোন কোন দিন আটা গুলে তাওয়ায় ছেঁকে আমাদের ক্ষুধার কান্না থামাতো।
এরপর ভাগ্য বদলাতে আবারও চাকুরী পরিবর্তন করে চলে এলাম ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক বাজারে। আমার বর্তমান দোকান থেকে ২০০ গজ উত্তরে চৌরাস্তায় একটি মুদির দোকানে ১ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী শুরু করলাম। এরই মধ্যে মনে মনে একটা স্বপ্ন চাউর হয়ে উঠলো। প্রায়ই ভাবতাম কিছু টাকার ব্যবস্থা হলে এই মুদি পণ্যেরই একটি দোকান দিতাম কিন্তু কিভাবে? কারণ আমার সংসার চালিয়ে একটি টাকাও অবশিষ্ট থাকে না, যা দিয়ে কোন কিছু করতে পারব। এভাবে ৬ বছর একই দোকানে থাকার পরে, এই বাজার অঞ্চলে সোহরাব নামের একজনের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমার আন্তরিকতা, সততা ও ভালো ব্যবহার দেখে সেই বন্ধুই আমাকে আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখানেও ভাগ্য আমার সাথে বিরূপ ব্যবহার করে। এই বাজারে আমার বর্তমান দোকান থেকে দুই দোকান পরে ১টি দোকান ভাড়ায় পেয়ে যাই। কিন্তু আমি এই বাজারের যে দোকানে চাকুরী করতাম সেই দোকানের মালিক আমি যাতে দোকানটি নিতে না পারি সে জন্য মার্কেটের মালিকের কাছে অসত্য তথ্য দিয়ে দোকানটি নিতে দিলেন না। আমার স্বপ্ন মুকুরেই ঝরে গেল। কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র আমি নই। মনে আরো শক্তি সঞ্চয় করে নব উদ্যমে শুরু করলাম দোকান খোঁজা। কয়েক দিনের চেষ্টায় মাদারটেক কমিশনার গলিতে পেয়েও গেলাম অন্য একটি দোকান।
নতুন এই দোকানটির অগ্রীম ২০ হাজার ও ভাড়া ১ হাজার ৯ শত টাকা। সব শুনে আমার ঐ বন্ধু আমাকে ২০ হাজার টাকা ধার দিলেন, যার ফলে আমি এককালীন অগ্রীম হিসেবে দোকান মালিককে উক্ত টাকা প্রদান করলাম। এরপর পড়ে গেলাম আরেক ঝামেলায়। দোকান তো নেওয়া হলো কিন্তু দোকানে মালামাল তোলার জন্য কোন মূলধন আমার ছিল না। তাই উপায়-অন্ত না দেখে বাড়িতে গিয়ে বাবাকে সব খুলে বললাম। সব শুনে বাবা আমাকে বাড়িতে থাকা একটি মাত্র গরু বিক্রি করে হাতে তুলে দিলেন ৭ হাজার ৫ শত টাকা। পুঁজি বলতে এই সাড়ে সাত হাজার টাকাই। তা দিয়েই শুরু করলাম আমার স্বপ্নের পথে হাঁটা। আমি যেহেতু এই বাজারেই একটি দোকানে দীর্ঘ ৬ বছর চাকুরী করেছি তাই বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে আমার জানা পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। তারা আমাকে অনেক সহযোগিতা করতে থাকল। ফলে আমার ব্যবসাও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকল।
কিন্তু একসময় বুঝতে পারলাম যে, ব্যবসায় যদি আরও কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করা যায় তা হলে আমার ব্যবসায় আরও দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব হবে। কিন্তু পুঁজি কোথায়, কীভাবে পাব তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। এমন সময় একদিন দোকানে একজন এসে সালাম বিনিময় করলেন এবং জানালেন যে, তিনি ডিএমসিবি’র গোড়ান শাখার একজন বিনিয়োগ কর্মকর্তা, তার নাম লোকমান হোসেন। তিনি আরো জানালেন যে, দৈনিক বেঁচা-বিক্রি আছে, যারা সৎ ও কর্মঠ এমন ক্ষুদ্র ও মাঝারী মানের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ডিএমসিবি সহজ শর্তে বিনিয়োগ প্রদান করে থাকে। কথাটি শুনে আমার খুব ভালো লাগলেও মনে সাহস হচ্ছিল না কথা বলতে। কারণ আমি জানি বিনিয়োগ নিতে হলে অবশ্যই জামানত দিতে হবে। তাই আমার দেওয়ার মতো কোন জামানত না থাকার কারণে আমি চুপচাপ শুনছিলাম। কিন্তু কথার শেষ পর্যায়ে যখন তিনি বললেন ডিএমসিবি খুব কম সময়ে ও সহজ শর্তে বিনিয়োগ দিয়ে থাকে, তখন আমি আগ্রহ করে বললাম ভাই আমি কীভাবে বিনিয়োগ পেতে পারি। আমার কথা শুনে তিনি আমাকে সব কিছু বুঝিয়ে বললেন এবং আরো বললেন যদি এরপরও আমি কিছু জানতে চাই তাহলে যেন ডিএমসিবি'র গোড়ান শাখায় গিয়ে ব্যবস্থাপক স্যারের সাথে কথা বলি।
বর্তমানে আমার ব্যবসা যে দোকানটিতে চলমান সেটি নতুন নিয়েছি। পূর্বের দোকান থেকে এই দোকানটির পজিশন অনেক ভালো। এই দোকানটির অগ্রীম ২ লক্ষ ৫০ হাজার আর ভাড়া ১৮ হাজার ৫ শত টাকা। এখন পর্যন্ত আমি ডিএমসিবি থেকে মোট ১৫ বার বিনিয়োগ নিয়েছি। বর্তমানে ডিএমসিবিতে আমার ৩ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ চলমান। আমি কখনও বড় বিনিয়োগ নেইনি, আমার ব্যবসার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই বিনিয়োগ নিতে চেষ্টা করেছি; তার বেশী নয়। বর্তমানে আমি ২০ লক্ষ টাকা মূলধনের ব্যবসা পরিচালনা করছি।
ডিএমসিবি’র বাইরে আমার ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য অন্য দুটি ব্যাংকে হিসাব চালু থাকলেও আমি সেখান থেকে কখনও বিনিয়োগ গ্রহণ করিনি। কারণ তাদের বিনিয়োগ পাওয়ার শর্ত অনেক জটিল এবং সময় সাপেক্ষ যা আমার পছন্দ নয়। তাই বিনিয়োগের প্রয়োজন হলেই আমি আমার দোকানে নিয়মিত আসা ডিএমসিবি’র বিনিয়োগ কর্মকর্তাকে বলি, তিনি খুব কম সময়ে ও আন্তরিকতার সাথে আমাকে বিনিয়োগ পেতে সহযোগিতা করেন। তাছাড়া আমি বিভিন্ন সময় আমার ব্যবসায়িক সংকটকালে ডিএমসিবি’র গোড়ান শাখায় গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে পারামর্শ করি। এই ব্যাংটিকে আমি কোন ব্যাংক ভাবি না বরং ভাবি এটি আমার পরিবার এবং আমার ব্যবসার জন্য একজন অভিভাবক।
ডিএমসিবি'র সহায়তায় অমি এখন একজন সফল ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে ব্যবসাটা আরো বৃদ্ধি করার। বর্তমানে যে কয়টি কোম্পানির ডিস্টিবিউটরশিপ আছে তার সাথে আরো কয়েকটি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা আছে। সেই সাথে আমার বর্তমান দোকানের জন্য একটি গোডাউন ভাড়া নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। আমি ডিএমসিবি'র সার্বিক সাফল্য ও উন্নতি কামনা করি।
Branch Name : Nawabganj, Dhaka
Branch Code : 098
"ডিএমসিবিএল এর কারনে আজ আমি একজন সফল ব্যবসায়ী"
ঢাকা জেলায় অবস্থিত নবাবগঞ্জ থানার কোমলগঞ্জের ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল হোসেন তার ভাষায় বললেনুএকাদিন আমি টাইলসের বড় ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। এই প্রত্যেয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। কিন্তু শুরুতেই দেখা দিলো পূজির অভাব। অল্প মুলধন নিয়েই শুরু হলো টিকে থাকার লড়াই। মুলধনের অভাবে ব্যবসায়িক পরিকল্পনাগুলো মুখথুবড়ে পড়ছিল। উক্ত ব্যবসায়ী বলেন আমি এক সময় পূজিঁর অভাবে ব্যবসা সম্প্রসারন করতে পারছিলাম না। সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলাম।
এরই মধ্যে একদিন ডিএমসিবিএল এর একজন ফিল্ড অফিসার মোঃ রাজু আহম্মেদ এর মাধ্যেমে জানতে পারি " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর নবাবগঞ্জ শাখা সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে জামানত বিহীন ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক বিনিয়োগ প্রদান করে থাকে। তিনি আমাকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের সাথে সাক্ষাত করতে বলেন। তার কথা অনুযায়ী আমি নবাবগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আলমগীর চৌধুরী এর সাথে দেখা করি। শাখা ব্যবস্থাপক আমার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ও ব্যবসার প্রতি উৎসাহ দেখে প্রথমে আমাকে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ প্রদান করেন। এরপর আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে ৭ বার বিনিয়য়োগ নিয়ে সময় মত পরিশোধ করেছি। আমার সংসারে এখন অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। অবশেষে সর্বশেষ ১২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ গ্রহন করি। এ বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে আমি এখন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি মনে করি আমার সফলতার পেছনে " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর নবাবগঞ্জ শাখার ভুমিকা অপরিসীম। শাখার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করছি।
Branch Name : Rangamati, Chattogram
Branch Code : 097
"স্বপ্ন পুরনের পথ প্রদর্শক"
রাঙ্গামাটি শহরের সিদ্ধিভবন এলাকার উপজাতীয় কাপড়ের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমি ক্রাজাই প্রো মারমা। আমি যখন ব্যবসা শুরু করি তখন আমার ব্যবসাটি ছিল ছোট পরিসরের এবং দৈনিক আয় হত মাত্র ১,৮০০/- টাকা। একদিন দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ এর রাঙ্গামাটি শাখার ফিল্ড অফিসার জনাব রিকু চাকমা এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তার কাছ থেকে জানতে পারলাম এই প্রতিষ্ঠান আমার মত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে বিনিয়োগ প্রদান করে থাকে।
তার কথা মত একদিন ব্যাংকের রাঙ্গামাটি শাখায় চলে আসি এবং শাখা ব্যবস্থাপক জনাব খোকন চক্রবর্তী মহোদয়ের সাথে দেখা করে আমার ব্যবসার কথা বলি। ব্যবস্থাপক মহোদয় আমার নিষ্ঠা ও ব্যবসায়িক কর্মস্পৃহা অবলোকন করে আমাকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রকল্পে আওতায় সহজ শর্তে জামানত বিহীন ২.০০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ প্রদান করেন। আমি কিস্তির মাধ্যমে সহজেই নি©র্র্দষ্ট মেয়াদের মধ্যে বিনিয়োগের টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হই। প্রথম বিনিয়োগ পরিশোধের পর পুনরায় ৩.০০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ গ্রহণ করি। এভাবেই ধীরে ধীরে আমার ব্যবসার পরিধি বড় হতে থাকে। এ পর্যন্ত আমি ৩ বার বিনিয়োগ গ্রহন করেছি। বর্তমানে আমার ব্যবসায় ৪.০০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ চলমান আছে। বর্তমানে আমার দোকানে বিভিন্ন উপজাতীয় পোশাকের আধুনিক সমাহার যে কারনে আমার ব্যবসা খুব অল্প সময়ে সকলের নিকট পরিচিতি লাভ করেছে। ইসলামী শরীয়াহ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। তবে দৈনিক কিস্তি দৈনিক পরিশোধের মাধ্যমে আমার দায় কমাতে সাহায্য করে। " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " আমার মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন পুরনের পথ প্রদর্শক। তাই আমি এই ব্যাংকটির সর্বোত উন্নতি কামনা করি।
Branch Name : Kurigram, Rangpur
Branch Code : 095
"মোঃ আতিকুর রহমান মানিক এর কষ্টের পরিসমাপ্তি"
আমি নিজস্ব স্বল্প মূলধনে কুড়িগ্রাম শহরের প্রান কেন্দ্রে শহীদ জিয়া বাজারে, আমার পরিবেশক ব্যবসা ( সুপার স্টোর ইলেকট্রনিক সামগ্রী ) অতি কষ্ঠে পরিচালনা করতাম। পর্যাপ্ত মূলধনের অভাবে ব্যবসা প্রসার করতে পারছিলাম এবং হতাশায় দিন দিন আমার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা হচ্ছিল হঠাৎ একদিন ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার মোঃ আবু হানিফ এর মাধ্যমে জানতে পারলাম " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ ", কুড়িগ্রাম শাখা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে বিনিয়োগ প্রদান করে।
ফলে আমি উক্ত ব্যাংকে যাই ও চলতি হিসাব চালু করি এবং নিয়মিত চলতি হিসাবে টাকা জমা করি। আমার দৈনিক ব্যবসায়ীক লেনদেনে সন্তুষ্ট হয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আমাকে জামানত বিহীন সহজ শর্তে প্রাথমিক অবস্থায় ৩,০০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ প্রদান করে। বর্তমানে আমার সদর থানার শহীদ জিয়া বাজারে দুইটি বেশ ভালোভাবে চলছে এবং আমার আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থাপকের প্রেরণায় বর্তমানে আমি উক্ত ব্যাংক হতে ১৩,০০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ গ্রহন করেছি এবং ভবিষ্যতে উক্ত ব্যাংকের সহায়তায় ব্যবসায় আরোও সফল হতে পারবো এই প্রত্যাশা করছি।
Branch Name : Bhola, Barishal
Branch Code : 094
"ভাই ভাই ট্রেডার্স ডিএমসিবিএল এর নক্ষত্র"
আমি মোঃ নান্নু হাওলাদার " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর ভোলা শাখার একজন বিনিয়োগ গ্রাহক। আমি বিগত ২০০২ সাল হতে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অন্যের দোকানে চাকুরী করি। এরপর ২০০৬ সালে আমি নিজেই একটি কীটনাশকের ব্যবসা শুরু করি, যেখানে পুঁজির পরিমাণ ছিল খুবই সামান্য। আমার স্বপ্ন ছিল ব্যবসাকে আরো বড় করা, কিন্তু পুঁজির অভাবে ব্যবসা বড় করতে পারছিলাম না। এমন সময় আমার এক ব্যবসায়ী বন্ধু আমাকে " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর সহজ শর্তে বিনিয়োগ প্রদানের কথা বলে।
তার কথামত একদিন ব্যাংকের ভোলা শাখায় চলে আসি এবং শাখার ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলে আমার ব্যবসার কথা বলি। শাখা ব্যবস্থাপক আমাকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রকল্পের আওতায় সহজ শর্তে জামানত বিহীন ১,০০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ প্রদান করেন। আমি কিস্তির মাধ্যমে খুব সহজেই মেয়াদের মধ্যে বিনিয়োগের টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হই। প্রথম বিনিয়োগ পরিশোধের পর পূনরায় ২,০০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ গ্রহণ করি। আমার কীটনাশকের দোকান এক সময়ে ভাই ভাই ট্রেডার্স নামে সুনাম লাভ করে। এভাবে ধীরে ধীরে আমার ব্যবসার পরিধি বড় হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মেসার্স ভাই ভাই টেডার্সের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ০৩(তিন) টি দোকানে উন্নীত হয়। এ পর্যন্ত আমি পর্যায়ক্রমে ০৭(সাত) বার বিনিয়োগ গ্রহণ করেছি। বর্তমান ব্যবস্থাপক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ এর প্রেরণায় আমার ব্যবসায় ৭,০০,০০০/- টাকার বিনিয়োগ চলমান আছে। আমি অত্র " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর সাফল্য ও উন্নতি কামনা করছি।
Branch Name : Jhenaidah , Khulna
Branch Code : 084
"শ্রী বাচ্চু কুমার ঘোষ এখন ভাল আছেন"
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর এলাকার " সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরী " এর মালিক শ্রী বাচ্চু কুমার ঘোষ বলেন-মিষ্টি ও কোমল পানিয় ব্যবসা করে তিনি এখন ভাল আছেন। " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর কোটচাঁদপুর শাখার বিনিয়োগের সঠিক ব্যবহার করে তিনি এই সফলতা অর্জন করেছেন। শ্রী বাচ্চু কুমার ঘোষ পুঁজির অভাবে তার মিষ্টি ও কোমল পনিয়ের ব্যবসা সম্প্রসারন করতে পারছিলেন না। একদিন " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর কোটচাঁদপুর শাখার ফিল্ড কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পারলেন এই ব্যাংকটি সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে বিনা জামানতে বিনিয়োগ প্রদান করে।
ফিল্ড কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী শ্রী বাচ্চু কুমার ঘোষ ব্যাংকে যান এবং শাখা ব্যাস্থাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে কথা বলেন। শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম ব্যবসার বিস্তারিত জেনে গত ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল প্রথমে তাকে ১.০০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ প্রদান করেন। এই বিনিয়োগের টাকা দিয়ে দোকানের মালামাল ক্রয় করে ব্যবসা সম্প্রসারন করে নতুন উদ্যামে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন। এরপর আর বাচ্চু কুমার ঘোষকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নী। একে একে বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিবারই সময়মত পরিশোধ করেছেন। অবশেষে গত ২০১৫ সালের ১৪ মে ১.০০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ নিয়ে তিনি তার ব্যবসাকে পুনরায় সম্প্রসারন করেন। বর্তমানে তার দোকানের মালামাল পরিপূর্ন, বিক্রি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি লাভের পরিমানও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দিনে দিনে তিনি সফল ব্যবসায়ী হতে চলেছেন। সব কিছু সম্ভব হয়েছে " দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ " এর সহযোগিতা নিয়ে।