Short Profile
গ্রুপ ক্যাপ্টেন খান মোহাম্মদ নজিব (অবঃ)
এনডিইউ, পিএসসি, এমডিএস, জিডি(পি)পরিচালক
খান মোহাম্মদ নজিব (অবঃ) এনডিইউ, পিএসসি, এমডিএস, জিডি(পি) ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের বিভিন্ন স্কুলে পড়ালেখা করলেও তিনি ঢাকার আরমেনিটোলা গভর্মেন্ট হাই স্কুল হতে এসএসসি এবং কায়দে আজম কলেজ হতে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে ১৯৬৮ সালে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালের আইয়ূব বিরোধী ও ১১ দফা আন্দোলনের প্রথম দিনেই (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা হতে সাংবাদিক মাহফুজ আনাম, হাসান, সাহাবুদ্দিন সহ আরো অনেকের সাথে গ্রেফতার হন। শীঘ্রই জামিনে মুক্তি পেয়ে গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এই ১১ দফা আন্দোলনই স্বাধীনতার ভীত তৈরী করে। এরপর আইয়ূব বিরোধী গণজাগরনের জন্য বিক্রমপুরের বিভিন্ন যায়গায় সভা-সমিতি করে বেড়ান। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এবং প্রায় ৩০টি নাটকে অভিনয় করেন। কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকে বিশিষ্ট ভূমিকায় অভিনয় করেন।
১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জিডি(পি) ব্রাঞ্চে নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বাঙ্গালীদের ফ্লাইং বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি পাকিস্তানে ফ্লাইং কোর্স শেষ করতে পারেন নাই এবং দুই বৎসর পাকিস্তান জেলে কাটিয়ে ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে আসেন। পরে সোভিয়েট ইউনিয়ন হতে মিগ-২১ সুপারসনিক ফাইটার ফ্লাইং শেষ করেন এবং ফ্লাইং দক্ষতার জন্য সম্মান সার্টিফিকেট পান। তিনি বিক্রমপুরের প্রথম ফাইটার পাইলট। তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও ইরাক বিমান বাহিনীতে চাকুরী করেন। তিনি ফ্লাইং দক্ষতার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান হতে দুইবার কমেন্ডেশন সার্টিফিকেট পান। এছাড়া তিনি ফ্লাইং ইন্সট্রাকটর এর দক্ষতার জন্য ইরাক বিমানবাহিনী প্রধানেরও প্রশংসাপত্র পান, যা একটি বিরল ঘটনা।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গ্রাজুয়েট। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস এন্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর, ঢাকা; ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি, বেইজিং, চায়না; নেভাল পোষ্টগ্রাজুয়েট ইনষ্টিটিউট, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউ.এস.এ. এর একজন গ্রাজুয়েট। এছাড়া তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হতে প্রথম শ্রেণীতে “মাষ্টার অব ডিফেন্স সাইন্স” ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে তিনি ফ্লাইং ইন্সট্রাকটর, স্কোয়াড্রন কমান্ডার, ডিপুটি কমান্ডেন্ট, চীফ ফ্লাইং ইন্সট্রাকটর, চীফ উইপন কন্ট্রোলার, তিনটি ঘাটির বেসকমান্ডার এবং এয়ার হেডকোয়ার্টারে পাঁচটি দপ্তরের ডাইরেক্টর হিসেবে কাজ করে। তিনি ডাইরেক্টর ফ্লাইট সেফটি, ডাইরেক্টর ট্রেনিং, ডাইরেক্টর অপারেশন, ডাইরেক্টর প্লানস ও ডাইরেক্টর আরমামেন্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘ তিন বৎসর ডাইরেক্টর এয়ার অপারেশন হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। বয়স ভিত্তিতে ২০০১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি প্রায় ১৮ বৎসর তিনটি প্রাইভেট কোম্পানীতে এবং তিনটি এয়ারলাইন্স এ পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। ২০১৯ সাল হতে তিনি “দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ” এ পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
তিনি বিবাহিত। এক ছেলে, এক মেয়ের জনক। তার তিন জন নাতি-নাতনী আছে। তিনি পাকিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরাক, সৌদি আরব, তুরস্ক, আরব আমিরাত, হংকং, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষা গ্রহণ সহ ভ্রমণ করেন।