Total Visitor
Website counter
Counting since March 26, 2008

Success Story of Member

Client Image

শাখার নাম : গোড়ান শাখা, ঢাকা
কোড নং : ০৬
ডিএমসিবি'র সহায়তায় মোঃ আলী হোসেন এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী


দোকানের ক্যাশে বসে চোখ বন্ধ করে বাজারের হট্টগোলের মধ্যেই দোকানের শেষ প্রান্তে থাকা সহকর্মীর বলা পণ্যের তালিকা শুনে ক্যালকুলেটার চেপে হিসাব মেলাচ্ছিলেন মোঃ আলী হোসেন। চোখ বন্ধ রেখেই সুনিপুণ দক্ষতায় আঙুলে ঝড় তুলছিলেন আলী হোসেন; অসাধারণ সে দৃশ্য। সালাম শুনে চোখ মেলে একগাল হেঁসে বিনয়ের সাথে সালামের উত্তর দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলেন। উঠে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন “দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড” (ডিএমসিবি) এর গোড়ান শাখার ব্যবস্থাপক ও কেন্দ্রীয় জনসংযোগ বিভাগের প্রতিনিধিকে বসাবার ব্যবস্থা করতে। এতক্ষণ বলছিলাম, সদা হাস্যজ্জ্বল মোঃ আলী হোসেন এর কথা। তিনি ডিএমসিবি'র গোড়ান শাখা, ঢাকার একজন সম্মানিত সদস্য ও বিনিয়োগ গ্রহীতা। তাঁর সাথে কথা হয় তাঁর নিজেস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক বাজারের চৌরাস্তায় অবস্থিত ‘আলী স্টোর’ নামক মুদি ও প্রসাধন পণ্যের দোকানে।

আলী হোসেন বলেন; সারা জীবন কষ্ট করে আজ সুখের মুখ দেখেছি ডিএমসিবি'র সহায়তায়, তবে সহজে ধরা দেয়নি এই সুখ। এর নাগাল পেতে আমাকে সেই কিশোর বয়স থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমরা ছিলাম ৬ ভাই ২ বোন। বাবা মা সহ ১০ জনের সংসার। বাবা ছিলেন ঢাকার ডেমরার একটি জুট মিলের সামান্য মেশিনম্যান। বাবার পাওয়া অল্প বেতনে আমাদের সংসার ঠিকমত চলতো না। অন্য কোন উপায়ও ছিল না। আমরা ভাই-বোনরাও ছিলাম সবাই খুব ছোট, ফলে সংসারের জন্য কিছু করতে পারতাম না। বাবা ডেমরাতে চাকুরী করলেও আমরা থাকতাম নারায়ণগঞ্জ এর রূপগঞ্জ উপজেলার উল্লাবাহ্ নামক আমাদের নিজ গ্রামে। গ্রামের বাড়ী বলতে ছিল একটি মাটির ঘর। আর পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে দেড় বিঘা জমি, যা বছরের প্রায় ৫-৬ মাস সময়ই থাকতো পানির নিচে। আমরা সব ভাই-বোন মিলে ক্ষুধা ও দারিদ্রের সাথে পাঞ্জা লড়তাম। প্রায়ই আমরা একবেলা খেতাম, কোন কোন দিন তাও জুটতো না। মা কোন কোন দিন আটা গুলে তাওয়ায় ছেঁকে আমাদের ক্ষুধার কান্না থামাতো। এরপর আমরা একটু বড় হতেই অর্থের অভাবে বড় ভাই ও বড় বোনের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। কারণ তত দিনে বাবার মাইগ্রেনের ব্যথাটা বেশ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে আমাদের সংসারের একমাত্র আয়ের পথ বাবার ঐ জুট মিলের চাকুরীটাও এর মধ্যে ছাড়তে হয়েছে। বাবা তখন বাধ্য হয়ে নিজের জমি সহ অন্যের কিছু জমি বর্গা নিয়ে শুরু করলেন কৃষি কাজ। বর্ষার পরে জেগে ওঠা জমিতেই চলতো সেই চাষ। মানে অর্ধ বার্ষিক একটা আয়ের উৎস। সংসারে তখন ছন্নছাড়া অবস্থা। বড় ভাই বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষের জমি এবং রাস্তায় মাটি কাটার কাজ নিলেন। আমি তখনও পড়ালেখাটা কোন রকমে চালিয়ে যাচ্ছি ৭ম শ্রেণীতে। পাশাপাশি গ্রামের বাজারে একটি মুদির দোকানে পেটে ভাতে খন্ডকালীন চাকুরী নিলাম। এভাবে ৬ মাস চলার পর অভাবের কারণে বাধ্য হয়ে পড়াশোনাটা বন্ধ করে দিয়ে পূর্ণকালীন চাকুরী নিলাম। বেতন ছিল ১৫০ টাকা। এভাবে চলল আরো বছর দেড়েক। এরপর সংসারে অভাবের সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে বাধ্য হয়ে ভালো কিছুর আশায় রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। ঢাকাতে এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে বাসাবোতে ৬০০ টাকা বেতনে একটি মুদির দোকানে চাকুরী পেলাম, সেই সাথে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও হলো। সংসারে তখনও চরম অভাব। বেতনের পুরো টাকাই বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম তবুও বুঝতে পারতাম সংসারের অভাবের কাছে আমার সামান্য বেতনের টাকা কিছুই না। কিছু করার নেই তাই নীরবে বহু রাত কেঁদেছি কিন্তু কোন উপায় খুঁজে পাইনি। এভাবে কাটল আরো দুই বছর ।

এরপর ভাগ্য বদলাতে আবারও চাকুরী পরিবর্তন করে চলে এলাম ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক বাজারে। আমার বর্তমান দোকান থেকে ২০০ গজ উত্তরে চৌরাস্তায় একটি মুদির দোকানে ১ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী শুরু করলাম। এরই মধ্যে মনে মনে একটা স্বপ্ন চাউর হয়ে উঠলো। প্রায়ই ভাবতাম কিছু টাকার ব্যবস্থা হলে এই মুদি পণ্যেরই একটি দোকান দিতাম কিন্তু কিভাবে? কারণ আমার সংসার চালিয়ে একটি টাকাও অবশিষ্ট থাকে না, যা দিয়ে কোন কিছু করতে পারব। এভাবে ৬ বছর একই দোকানে থাকার পরে, এই বাজার অঞ্চলে সোহরাব নামের একজনের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমার আন্তরিকতা, সততা ও ভালো ব্যবহার দেখে সেই বন্ধুই আমাকে আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখানেও ভাগ্য আমার সাথে বিরূপ ব্যবহার করে। এই বাজারে আমার বর্তমান দোকান থেকে দুই দোকান পরে ১টি দোকান ভাড়ায় পেয়ে যাই। কিন্তু আমি এই বাজারের যে দোকানে চাকুরী করতাম সেই দোকানের মালিক আমি যাতে দোকানটি নিতে না পারি সে জন্য মার্কেটের মালিকের কাছে অসত্য তথ্য দিয়ে দোকানটি নিতে দিলেন না। আমার স্বপ্ন মুকুরেই ঝরে গেল। কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র আমি নই। মনে আরো শক্তি সঞ্চয় করে নব উদ্যমে শুরু করলাম দোকান খোঁজা। কয়েক দিনের চেষ্টায় মাদারটেক কমিশনার গলিতে পেয়েও গেলাম অন্য একটি দোকান। নতুন এই দোকানটির অগ্রীম ২০ হাজার ও ভাড়া ১ হাজার ৯ শত টাকা। সব শুনে আমার ঐ বন্ধু আমাকে ২০ হাজার টাকা ধার দিলেন, যার ফলে আমি এককালীন অগ্রীম হিসেবে দোকান মালিককে উক্ত টাকা প্রদান করলাম। এরপর পড়ে গেলাম আরেক ঝামেলায়। দোকান তো নেওয়া হলো কিন্তু দোকানে মালামাল তোলার জন্য কোন মূলধন আমার ছিল না। তাই উপায়-অন্ত না দেখে বাড়িতে গিয়ে বাবাকে সব খুলে বললাম। সব শুনে বাবা আমাকে বাড়িতে থাকা একটি মাত্র গরু বিক্রি করে হাতে তুলে দিলেন ৭ হাজার ৫ শত টাকা। পুঁজি বলতে এই সাড়ে সাত হাজার টাকাই। তা দিয়েই শুরু করলাম আমার স্বপ্নের পথে হাঁটা। আমি যেহেতু এই বাজারেই একটি দোকানে দীর্ঘ ৬ বছর চাকুরী করেছি তাই বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে আমার জানা পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। তারা আমাকে অনেক সহযোগিতা করতে থাকল। ফলে আমার ব্যবসাও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকল। কিন্তু একসময় বুঝতে পারলাম যে, ব্যবসায় যদি আরও কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করা যায় তা হলে আমার ব্যবসায় আরও দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব হবে। কিন্তু পুঁজি কোথায়, কীভাবে পাব তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। এমন সময় একদিন দোকানে একজন এসে সালাম বিনিময় করলেন এবং জানালেন যে, তিনি ডিএমসিবি’র গোড়ান শাখার একজন বিনিয়োগ কর্মকর্তা, তার নাম লোকমান হোসেন। তিনি আরো জানালেন যে, দৈনিক বেঁচা-বিক্রি আছে, যারা সৎ ও কর্মঠ এমন ক্ষুদ্র ও মাঝারী মানের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ডিএমসিবি সহজ শর্তে বিনিয়োগ প্রদান করে থাকে। কথাটি শুনে আমার খুব ভালো লাগলেও মনে সাহস হচ্ছিল না কথা বলতে। কারণ আমি জানি বিনিয়োগ নিতে হলে অবশ্যই জামানত দিতে হবে। তাই আমার দেওয়ার মতো কোন জামানত না থাকার কারণে আমি চুপচাপ শুনছিলাম। কিন্তু কথার শেষ পর্যায়ে যখন তিনি বললেন ডিএমসিবি খুব কম সময়ে ও সহজ শর্তে বিনিয়োগ দিয়ে থাকে, তখন আমি আগ্রহ করে বললাম ভাই আমি কীভাবে বিনিয়োগ পেতে পারি। আমার কথা শুনে তিনি আমাকে সব কিছু বুঝিয়ে বললেন এবং আরো বললেন যদি এরপরও আমি কিছু জানতে চাই তাহলে যেন ডিএমসিবি’র গোড়ান শাখায় গিয়ে ব্যবস্থাপক স্যারের সাথে কথা বলি। সেদিন রাতে আমার প্রায় ঘুমই হলো না। শুধু মনে হচ্ছিল যে, কখন সকাল হবে। রাতে আমি অনেক পরিকল্পনা করলাম বিনিয়োগ পাওয়ার বিষয়ে। পরের দিন অফিস চলাকালীন সময়ে আমি আমার ঐ বন্ধুকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম গোড়ান শাখায়। শাখায় গিয়ে ব্যবস্থাপক স্যারের সাথে কথা বলে খুব ভাল লাগলো। আমি স্যারকে জানালাম আমার ব্যবসায়িক পরিকল্পনার কথা সেই সাথে জানালাম বিনিয়োগ পাওয়ার কথাও। সব শুনে স্যার আমাকে সদস্য হওয়ার জন্য বললেন। আমি স্যারের কথামতো ডিএমসিবি’র সদস্য হলাম। এর কয়েক দিন পর আমি সকল নিয়ম মেনে ২০০২ সালে প্রথম বারের মতো ১০ হাজার টাকার বিনিয়োগ গ্রহণ করলাম। উক্ত বিনিয়োগের পুরো টাকা দিয়ে আমি আমার পরিকল্পনা মতো ব্যবসাতে কাজে লাগালাম। এরপর আমার ব্যবসার সুসময় ফিরতে শুরু করল। দোকানে মালামাল বেশী হওয়ার কারণে দোকানে অনেক নতুন গ্রাহক আসতে শুরু করল। ফলে আমার বিক্রয় বাড়ার সাথে সাথে লাভও বাড়তে থাকল। এরপরের গল্পটা অনেকটা রূপকথার মতো। আমি একাধিক বার বিনিয়োগ নিয়েছি এবং সময় মতো তা পরিশোধও করেছি। আমার সম্পদ বেড়েছে। তবে সেই সম্পদ আর্থিক ভাবে না বাড়িয়ে নিজের ভাইদের প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যয় করেছি। ব্যবসা যখন ভালোভাবে চলছিল তখন আমি আমার বড় ভাইকে গ্রামের বাড়িতে একটি দোকান তৈরী করে দেই। উক্ত দোকান এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। ভাইদের ছেলে-মেয়েরাও সবাই পড়াশোনা করছে। এক ভাইকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠিয়েছি, অন্য আর এক ভাইকে মালেশিয়ায়। ছোট দু’ভাইকেও মাদারটেক বাজারে ব্যবসার জন্য দোকান নিয়ে দিয়েছি। তারাও বর্তমানে ব্যবসা করছে। তাদের ব্যবসাও মোটামুটি ভালোভাবেই চলছে।

এই ব্যবসা থেকে আমি আমার পুরো পরিবারকে টেনে তুলতে সক্ষম হয়েছি। দু'বোন ও ছোট ভাইদেরকে ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া আমি নিজেও ২০০৪ সালে বিয়ে করেছি। বর্তমানে আমি দুই সন্তানের জনক। ছেলে ৮ম শ্রেণীতে, আর মেয়ে ৪র্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। আমার স্ত্রী আমাকে দারুণ ভাবে সহযোগিতা করেন। আমি আমার সারা জীবন নিজের পরিবার ও ভাই-বোনদের জন্য কাজ করেছি, কিন্তু এতে আমার স্ত্রী কখনও বাঁধা দেননি। স্ত্রী সুলক্ষণা বলেই আমি নিজে কিছু জমাতে না পারলেও স্ত্রী তার নিজ গুণে ১০ লক্ষের মতো নগদ টাকা জমিয়েছেন। ইচ্ছা আছে ঐ টাকা আরো কিছু বাড়লে, তার সাথে আমি কিছু টাকা দিয়ে গ্রামে একটি বাড়ি বানাবো। বর্তমানে আমার ব্যবসা যে দোকানটিতে চলমান সেটি নতুন নিয়েছি। পূর্বের দোকান থেকে এই দোকানটির পজিশন অনেক ভালো। এই দোকানটির অগ্রীম ২ লক্ষ ৫০ হাজার আর ভাড়া ১৮ হাজার ৫ শত টাকা। এখন পর্যন্ত আমি ডিএমসিবি থেকে মোট ১৫ বার বিনিয়োগ নিয়েছি। বর্তমানে ডিএমসিবিতে আমার ৩ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ চলমান। আমি কখনও বড় বিনিয়োগ নেইনি, আমার ব্যবসার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই বিনিয়োগ নিতে চেষ্টা করেছি; তার বেশী নয়। বর্তমানে আমি ২০ লক্ষ টাকা মূলধনের ব্যবসা পরিচালনা করছি।

ডিএমসিবি'র বাইরে আমার ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য অন্য দুটি ব্যাংকে হিসাব চালু থাকলেও আমি সেখান থেকে কখনও বিনিয়োগ গ্রহণ করিনি। কারণ তাদের বিনিয়োগ পাওয়ার শর্ত অনেক জটিল এবং সময় সাপেক্ষ যা আমার পছন্দ নয়। তাই বিনিয়োগের প্রয়োজন হলেই আমি আমার দোকানে নিয়মিত আসা ডিএমসিবি’র বিনিয়োগ কর্মকর্তাকে বলি, তিনি খুব কম সময়ে ও আন্তরিকতার সাথে আমাকে বিনিয়োগ পেতে সহযোগিতা করেন। তাছাড়া আমি বিভিন্ন সময় আমার ব্যবসায়িক সংকটকালে ডিএমসিবি’র গোড়ান শাখায় গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে পারামর্শ করি। এই ব্যাংটিকে আমি কোন ব্যাংক ভাবি না বরং ভাবি এটি আমার পরিবার এবং আমার ব্যবসার জন্য একজন অভিভাবক। ডিএমসিবি'র সহায়তায় অমি এখন একজন সফল ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে ব্যবসাটা আরো বৃদ্ধি করার। বর্তমানে যে কয়টি কোম্পানির ডিস্টিবিউটরশিপ আছে তার সাথে আরো কয়েকটি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা আছে। সেই সাথে আমার বর্তমান দোকানের জন্য একটি গোডাউন ভাড়া নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। আমি ডিএমসিবি’র সার্বিক সাফল্য ও উন্নতি কামনা করি।